মো.মনির হোসেন | শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০ | পড়া হয়েছে 178 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বিটঘর গ্রামে আশ্রায়ন প্রকল্পের জায়গা নিয়ে শুরু হয়েছে ভানুমতির খেলা। কেউ বলছে এই জায়গা দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্যরে সম্পত্তি। প্রশাসন বলছে ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত। সাধারণ মানুষ বলছে জায়গা তুমি কার।
জানাযায়,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এ বছরে দেশের গৃহ ও ভূমিহীন ৬ লাখ ৮ হাজার পরিবারকে একটি করে পাকাবাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে সরকারের। এরই অংশ হিসাবে নবীনগর উপজেলায় ৬০টি গৃহের “আশ্রায়ন প্রকল্প” নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ এসেছে। এরই মধ্যে উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নে ৩২ টি ঘরের জন্য সরকারের ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ১১৩৯ নং দাগে ৭৪ শতাংশ জায়গায় প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রশাসন। চলমান কাজের প্রায় ৫০% কাজ সমাপ্তির পথে। এই অবস্থায় জায়গাটি দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্যর সম্পত্তি দাবী করে ওই স্থানে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখে অন্য জায়গাতে করার দাবী করেছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল। একদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আবারও কাজ শুরু হয়েছে। মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্যরে কোন উত্তরসুরী নেই। তিনি ১৯৪৪ সালে মুত্যু বরন করেন। তার মুত্যুর পর যে যেই ভাবে পেরেছে তার জায়গা জমি দখল করে নিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে,একটি মহল ওই জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নার্সারী ভাড়া দেওয়া, লীজসহ দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে দখল করে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিল। এই জায়গাতে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, ফলে জায়গাটি অবৈধ দখলদারদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, সে কারনে জায়গাটি মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্যের সম্পত্তি দাবি করে কৌশলে সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি সহ এই স্থানে প্রকল্পটি বন্ধের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
অন্য একটি সূত্র জানায়, জায়গাটি গ্রামের মাঝখানে এবং মুল্যবান,এই স্থানে আশ্রয়ন প্রকল্প হলে গ্রামের সম্মান ও সুন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে সেই কারনে অনেকে আপত্তি জানিয়ে অন্যত্র এই আশ্রয়ন প্রকল্পটি করার দাবী জানাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আ’লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, এ জায়গা সিএস রেকর্ডে মহেশ ভট্টাচার্য়্যরে নামে রয়েছে,খাস খতিয়ান কি ভাবে হলো জানিনা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইকবাল হাসান বলেন,”এটা কোন ব্যক্তি মালিকানা জায়গা নয়, সরকারের ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করা হচ্ছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন,সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ চলমান আছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত অসহায় ৩২টি পরিবার পাবে একটি স্থায়ী ঠিকানা।