ওয়াহেদুজ্জামান দিপু | বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১ | পড়া হয়েছে 397 বার
ছবিঃ নবীনগর ৭১
রাত হলেই যেন ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের প্রেমে পড়ে যান নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক। তিনি যোগদানের পর থেকে ব্যতিক্রমী কিছু কর্মকান্ডে বেশ সাড়া পড়েছে নবীনগর উপজেলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর সন্ধ্যা অথবা গভীর রাতে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের বাড়িতে হাজির হন তিনি। সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা বলছেন এটা নিখাদ অসহায়দের প্রতি তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাই কেউ কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গরীব অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের প্রেমিক বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
বুধবার মধ্যরাতে লকডাউনের কর্মহীন প্রকৃত হতদরিদ্র ৭০ টি অসহায় পরিবার কে খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িতে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ,লবণ,চিনি ও ছোলা, নিজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পৌঁছে দিলেন। এই সময়ে এসব পেয়ে খুশি কর্মহীন মানুষগুলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আর দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি বিত্তবানদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খুঁজে সাতজন ক্যান্সার আক্রান্ত বিছানায় শায়িত রোগীকে আর্থিক অনুদান ৬ জন প্রতিবন্ধীকে নগদ অর্থ ও এক সপ্তাহের খাবার, কাল বৈশাখী ঝরে ফসল নষ্ট হওয়া প্রান্তিক কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তুলে দিলেন এক সপ্তাহের ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহযোগিতা। এভাবে সর্বমোট ৭০ জন অসহায় পরিবারকে খুঁজে খুঁজে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরেও রাতে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন নবীনগরের ইউএনও ।
খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি লবণ,১ কেজি পেয়াজ, ছোলা ও চিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, ত্রাণ বিতরণকালে দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রকৃত অর্থেই খুব কষ্টে আছেন। সামান্য সাহায্য পেয়েও তারা খুশি হয়েছেন। তারা অনেকে না খেয়ে, আবার অনেকে দু-এক বেলা খেয়া দিন পার করছেন বলে জানিয়েছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পেয়ে মহাখুশি কর্মহীন মানুষগুলো।